পাম তেল রপ্তানিতে ইন্দোনেশিয়ার কড়াকড়ি আরোপ

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৫১; আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:০২

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের বৃহত্তম পাম তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশ ইন্দোনেশিয়া তেল রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তেল রপ্তানিতে কড়াকাড়ি নিয়ম আরোপ করবে দেশটি। যেন বিদেশে কম রপ্তানি হয়। মূলত নিজ দেশের চাহিদা পূরণ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বর্তমানে পাম তেল উৎপাদনকারীরা ইন্দোনেশিয়ার অভ্যন্তরীণ বাজারে যে পরিমাণ তেল বিক্রি করে থাকেন তার আট গুণ রপ্তানি করতে পারেন। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী এটি ছয় গুণ করা হবে। মানে অভ্যন্তরীণ বাজারে ১ টন তেল বিক্রি করলে বিদেশে রপ্তানি করতে পারবেন ৬ টন।

ইন্দোনেশিয়ার মেরিটাইম এন্ড ইনভেস্টমেন্ট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সেপ্তিয়ান হারিও সেতিও রয়টার্সকে বলেছেন, ‘অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিতে, বিশেষ করে বছরের প্রথম চার মাসের সরবরাহ ঠিক রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

সেতিও জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ বাজার পরিস্থিতি, ভোজ্য তেলের সরবরাহ ও দাম বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে।

এর আগে এ বছরের শুরুতে ইন্দোনেশিয়া তেল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। দেশটিতে ভোজ্য তেলের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

এমনকি সাময়িক সময়ের জন্য ইন্দোনেশিয়া ভোজ্য তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। এর প্রভাবে টালমাটাল পরিস্থিতিরি সৃষ্টি হয়েছিল তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে।

বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার সরকার পাম তেল রপ্তানিকারকদের ওপর কথিত ডমিস্টিক মার্কেট অবলিগেশন (ডিএমও) আরোপ করে রেখেছে। এটির আওতায় তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রি করতে হয়। এরপর তাদের রপ্তানির সুযোগ দেওয়া হয়।

গত সপ্তাহে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসে ইন্দোনেশিয়ান পাম ওয়েল অ্যাসোসিয়েশেন (গ্যাপকি)। ওই বৈঠকে গ্যাপকির সাধারণ সম্পাদক এডি মারতোনো জানিয়েছিলেন, সরকারের বায়োডিজেল পোগ্রাম এবং বছরের প্রথম চার মাসে উৎপাদন কম হওয়ার শঙ্কা থাকায়, ভোজ্য তেলের সরবরাহ নিয়ে চিন্তা থেকেই যাবে।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া মার্চে পবিত্র রমজান মাস উদযাপন করবে। তখন অন্যান্য খাদ্যের মতো তেলেরও চাহিদা বাড়বে।

সূত্র: আল জাজিরা



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top