আল আকসায় মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি পুলিশের হামলা

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:১৭; আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ১০:১১

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি পুলিশ জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে কয়েক ডজন মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (৫ এপ্রিল) ভোরের আগে এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এই ঘটনার পর অধিকৃত পশ্চিম তীর জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। দক্ষিণের শহরগুলোতে সাইরেন বাজানোর পরে গাজা থেকে ৯টি রকেটও নিক্ষেপ করা হয় বলে দাবি করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ফিলিস্তিনিদের ওপর রাবার-টিপড বুলেট চালানো ও মারধর করা হয়। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী আহতদের চিকিৎসা করতে যাওয়া চিকিৎসকদের মসজিদে পৌঁছাতেও বাধা দেয়।

এক বৃদ্ধা নারী মসজিদের বাইরে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি একটি চেয়ারে বসে (কুরআন) তেলাওয়াত করছিলাম। তারা (ইসরায়েলি পুলিশ) স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে তার একটি আমার বুকে আঘাত করে,’ বলেই তিনি কাঁদতে শুরু করেন। এর কারণে তার শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল।

ইসরায়েলি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কিছু মুখোশধারী আন্দোলনকারী তাদের সঙ্গে বিস্ফোরক, লাঠিসোটা ও পাথর নিয়ে মসজিদের ভিতরে নিজেদেরকে আটকে রাখে। যে কারণে পুলিশ বাহিনীকে বাধ্য হয়ে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করতে হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ মসজিদের ভেতর ঢুকলে তাদের লক্ষ্য করে পাথর ও বিস্ফোরক ছুড়ে আন্দোলনকারীরা। এতে একজন পুলিশ কর্মকর্তা পায়ে আঘাত পান। ইসরায়েলি পুলিশের দাবি আন্দোলনকারীদের দাঙ্গার প্রতিক্রিয়ায় তারা এ হামলা চালিয়েছেন। ফিলিস্তিনিরা এ হামলাকে অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করে উপাসকদের ওপর ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেনেহ বলেন, আমরা পবিত্র স্থানগুলোতে রেডলাইন অতিক্রম করার বিরুদ্ধে দখলদারদের সতর্ক করছি। এ ধরনের ঘটনা ব্যাপকভাবে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটাবে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, এ ঘটনার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে ৯টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। যার মধ্যে অন্তত চারটি প্রতিহত করা হয়েছে এবং চারটি খোলা জায়গায় গিয়ে পড়েছে।

এর আগেও আল-আকসা নিয়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বড় ধরনের অনেক সংঘাত হয়েছে। এসব সংঘাতে শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে গত বছর থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে সহিংসতা বেড়েছে কয়েকগুণ।

মূলত চলতি মাসে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস অন্যদিকে ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পাসওভার ও খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার একই সময়ে হওয়ার কারণে এলাকাগুলো জুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top