পাকিস্তানের তোরখাম সীমান্তে দিনে পার হচ্ছে ১০০ আফগান পরিবার!

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:২৩; আপডেট: ৭ মে ২০২৫ ২২:৪১

- ছবি - ইন্টারনেট

পাকিস্তানের তোরখাম সীমান্ত- ফাইল ফটো/রয়টার্স
পাকিস্তান থেকে প্রতিদিন তোরখাম সীমান্ত দিয়ে নিজ দেশে ফিরছে অন্তত ১০০ আফগান পরিবার। তোরখাম ক্রসিং এর শরণার্থী শিবিরের কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।

তারা বলছেন, যতক্ষণ না পাকিস্তান আফগান শরণার্থীদের বিতাড়িত করছে, প্রতিদিন গড়ে ১০০টি পরিবার আফগানিস্তানে প্রবেশ করছে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ।

তোরখামের শরণার্থী শিবিরের ডেপুটি হেড অব অপারেশন ইফতিখার মুশফিক বলেন, 'আমরা একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছি যাতে উদ্বাস্তুরা যখন এখানে আসে, তাদের কাছে খাদ্য সহায়তা, কাপড় এবং জ্যাকেট সরবরাহ করা হয়। তারা যখন সীমান্ত পার হওয়ার গেটে যায়, তখন তাদের খাবার ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্যাম্পের ভেতরে এখনো নির্মাণকাজ চলছে।

তবে সম্প্রতি পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়া আফগানদের মধ্যে কয়েকজন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, তাপমাত্রা ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে তাদের প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে।

আমরুল্লাহ নামের একজন বলেন, 'সরকার আমাদের জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, আমি আশা করি তারা এই প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে।'

গুল রহিম নামের আরেকজন বলেন, 'শিশুরা নিউমোনিয়ায় ভুগছে। আমরা আশা করি কম্বল এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সাহায্য করা হবে। আমাদের কোনো জায়গা নেই।'

নবী গুল নামের একজন বলেন, 'আমাদের কিছুই নেই। আমি সরকারকে আমাদের সাহায্য করার জন্য এবং নিজেদের জন্য একটি বাড়ি তৈরি করার জন্য জমি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।'

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান, ইরান এবং অন্যান্য দেশ থেকে হাজার হাজার অভিবাসী আফগানিস্তানে ফিরে আসছে। এসব দেশ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ায় সহায় সম্বল হয়ে তারা আফগানিস্তানে ফ

এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। এসব দেশের এই সিদ্ধান্তকে বেআইনী হিসেবে উল্লেখ করেছে আফগান সরকার।

তালেবানের অর্থনৈতিক বিষয়ের উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার বলেন, 'দেশগুলো মুসলিম ভাইদের বহিষ্কার একটি বেআইনি সিদ্ধান্ত।'

নভেম্বরের শুরুতে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বহিষ্কার শুরু করে। দেশটিতে থাকা লাখ লাখ বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আফগানিস্তানের নাগরিক।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top