১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে লিবিয়ায় পাঠানোর পরিকল্পনা ট্রাম্পের : রিপোর্ট

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৫ ২০:৩৭; আপডেট: ১৭ মে ২০২৫ ২২:৫৭

- ছবি - ইন্টারনেট

ট্রাম্প প্রশাসন গাজা উপত্যকা থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এই প্রচেষ্টার সঙ্গে পরিচিত পাঁচ জন ব্যক্তির বরাতে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

পরিকল্পনা সম্পর্কে সরাসরি জ্ঞান রাখা দুই ব্যক্তি এবং একজন প্রাক্তন মার্কিন কর্মকর্তা এনবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, পরিকল্পনাটি এতটাই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনাধীন যে, প্রশাসন লিবিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করেছে।

এই তিন জন ব্যক্তি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের বিনিময়ে ট্রাম্পের প্রশাসন সম্ভাব্যভাবে লিবিয়াকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের তহবিল ছেড়ে দেবে, যেসব অর্থ যুক্তরাষ্ট্র এক দশকেরও বেশি সময় আগে জব্দ করেছিল।

তিনটি সূত্রই জানিয়েছে, কোনো চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি এবং প্রশাসনের আলোচনা সম্পর্কে ইসরায়েলকেও অবহিত রাখা হয়েছে।

এনবিসি'র প্রতিবেদন অনুসারে, এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ একাধিকবার সংবাদমাধ্যমটির মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি। এটি প্রকাশের পর, একজন মুখপাত্র এনবিসি নিউজকে বলেন, 'এই প্রতিবেদনগুলো অসত্য। মাঠের পরিস্থিতি এমন পরিকল্পনার পক্ষে অযোগ্য। এই ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়নি এবং এর কোনো অর্থ হয় না।'

এনবিসি নিউজের প্রশ্নের জবাবে হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, 'ফিলিস্তিনিরা তাদের মাতৃভূমিতে খুব গভীরভাবে প্রোথিত, মাতৃভূমির প্রতি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে এবং তাদের ভূমি, তাদের মাতৃভূমি, তাদের পরিবার এবং তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।'

নাইম আরও বলেন, হামাস একমাত্র দল - যাদের গাজা এবং গাজার বাসিন্দাদের জন্য কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।

এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকম্পনা নিয়ে ইসরায়েলি সরকারের প্রতিনিধিরাও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহে দীর্ঘস্থায়ী শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকে প্রায় ১৪ বছর ধরে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে লিবিয়ায়। দেশটির ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলায় জর্জরিত।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top