মুক্তিপ্রাপ্ত ১৫৪ ফিলিস্তিনি বন্দীকে জোরপূর্বক নির্বাসনে পাঠাল ইসরাইল
রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:১৮; আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৫৭

ইসরাইলের কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত অনেক ফিলিস্তিনি বন্দীকে জোরপূর্বক নির্বাসনে পাঠাচ্ছে ইসরাইল। বন্দী বিনিময় চুক্তির অধীনে মুক্তি পাওয়া অনেক ফিলিস্তিনি বন্দীর পরিবার জানিয়েছে, তাদের বহু প্রতীক্ষিত মুক্তি একইসাথে আনন্দ ও বেদনার।
কারণ তারা জানতে পেরেছেন, তাদের প্রিয়জনদের তৃতীয় কোনো দেশে নির্বাসিত করা হবে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গাজায় আটক ইসরাইলি পণবন্দীদের বিনিময়ের অংশ হিসেবে সোমবার মুক্তি পাওয়া কমপক্ষে ১৫৪ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে ইসরাইল নির্বাসনে যেতে বাধ্য করবে।
যাদের নির্বাসিত করা হচ্ছে, তারা ইসরাইলের মুক্তি দেয়া ফিলিস্তিনের একটি বৃহত্তর দলের অংশ। এর মধ্যে ইসরাইলি কারাগারে বন্দী ২৫০ জন এবং গত দুই বছরে ইসরাইলের যুদ্ধের সময় গাজা উপত্যকা থেকে আটক প্রায় এক হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি রয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের মতে, এদের মধ্যে অনেককে ‘জোরপূর্বক গুম’ করা হয়েছিল। অন্যদিকে, হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ২০ জন ইসরাইলি পণবন্দীকে মুক্তি দিয়েছে।
মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের কোথায় পাঠানো হবে সে সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি ইসরাইল। তবে জানুয়ারিতে বন্দী মুক্তির সময় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি বন্দীকে এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ, যেমন- তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া ও তুরস্কতে নির্বাসিত করা হয়েছিল।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জোরপূর্বক নির্বাসন মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদের নাগরিকত্ব অধিকার লঙ্ঘন করে। এটি বন্দী বিনিময় চুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিমুখী নীতির প্রমাণ।
দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের পাবলিক পলিসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তামের কারমাউত বলেন, ‘এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এটি অবৈধ।’
তিনি বলেন, ‘এটা অবৈধ কারণ তারা ফিলিস্তিনের নাগরিক। তাদের অন্য কোন নাগরিকত্ব নেই। তাদের একটি ছোট কারাগার থেকে বের করে বড় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। তাদের নিজেদের সমাজ থেকে দূরে, নতুন দেশে পাঠানো হচ্ছে, যেখানে তাদের কঠোর বিধিনিষেধের মুখে পড়তে হবে। এটি অমানবিক।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: