সবজির বাজারে ধস, দিশাহারা কৃষক

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:২৭; আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:০৭

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় নিত্যপণ্যের যখন অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে দিশাহারা ক্রেতা-ভোক্তা। সেই সময় সবজির বাজারে ধস নেমেছে নাটোরে। ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বস্তি মিললেও দিশাহারা কৃষক। সার তেল কীটনাশক বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পরে ফসল উৎপাদনে খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ।

মৌসুমের শুরুতে তাদের উৎপাদিত সবজির ভালো দাম পেলেও ভরা রমজান মাসে তাদের আশা ছিল অনেক বেশি দাম পাবেন তারা। কিন্তু রমজানের সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই ধস নেমেছে সবজির বাজারে। তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার জন্য পরিবহন খরচই উঠছে না তাদের।

কয়েকদিন আগেও নাটোরে সবজির বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে, মুলা ২ থেকে ৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, করলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, লালশাক এক টাকা আটি, ধনেপাতা ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি, ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে।

এমন বাজার পরিস্থিতিতে ক্রেতারা সন্তুষ্ট। নাটোর ইনেস সরকারি কলেজের ছাত্রাবাসে থাকা এক ছাত্র জানান, আমরা রীতিমতো সবজি খাওয়া ভুলেই গিয়েছিলাম অনেক বেশি দামের কারণে। এ রকম দাম পেলে আমাদের সবজির ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারব।

এক রিকশাচালক জানান, সারা দিনে যা উপার্জন করি, তা চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় সবজির দাম কম হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি।

ক্রেতা-ভোক্তারা সন্তুষ্ট হলেও দিশাহারা হয়েছে কৃষকরা। রাজশাহীর বাগমারা থেকে আসা এক কৃষক জানান, আমাদের উৎপাদিত শাকসবজি আমরা নাটোর স্টেশন বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে সবজির দাম কমে গেছে তাতে আমাদের পরিবহন খরচ নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে। সরকার একটা ব্যবস্থা না নিলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব।

তেল সার কীটনাশক বীজের আকাশ ছোয়া দামের কারণে সবজি উৎপাদনে খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি হয়েছে। এমতাবস্থায় বাজার পরিস্থিতি এমন থাকলে পথে বসতে হবে কৃষকদের। শুধু কৃষকরাই ধাক্কা খায়নি। সেই সঙ্গে খুচরা বিক্রেতারাও ধাক্কা খেয়েছে অনেক বড়।

পণ্যের দাম বেশি থাকলে তাদের লাভও বেশি হত বলে জানান আমিনুল ইসলাম নামের এক খুচরা বিক্রেতা। তিনি জানান, আগে এক কেজি পণ্য বিক্রি করলে ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ হতো। সেখানে সবজির প্রতি কেজি যদি দুই থেকে পাঁচ টাকা হয় তাহলে লাভ কীভাবে হবে। এমন অবস্থায় ক্রেতারাও যাতে সহনীয় দামে পণ্য কিনতে পারেন এবং কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারাও স্বাভাবিক দাম রেখে তাদের পণ্য কেনাবেচা করতে পারেন এমনটাই প্রত্যাশা নাটোরবাসীর।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top