মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ আবাসিক শিক্ষার্থীরা

রাবি প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২২ ০৪:২৬; আপডেট: ৪ মে ২০২৪ ০২:৫২

ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মশার উপদ্রব ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে আবাসিক হলগুলোতে মশার উপদ্রব মাত্রাতিরিক্ত। এতে করে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের ড্রেন ও জলাশয়গুলোতে অতিরিক্ত আবর্জনা এবং ঝোঁপঝাড়, জঙ্গল, হলের বাথরুম ড্রেনগুলো ডেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় হলে থাকা কষ্টকর হয়ে গেছে। রুমে বসে লেখাপড়া করা কষ্টকর হয়ে উঠেছে মশার যন্ত্রণায়। সবসময় কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। কয়েলের ধোঁয়া শ্বাসনালি ও ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হওয়ায় সবসময় কয়েল জ্বালিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। কিন্তু দু-একটি হলে নামমাত্র ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন অভিযান লক্ষ করা গেলেও বর্তমানে তাও বন্ধ রয়েছে। ফলে তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের পাশে, একাডেমিক ভবনগুলোর ধারে, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ খাবার দোকানগুলোর পাশে ও বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় সেগুলো যেন মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে তাছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গার ঝোঁপ-ঝাড়গুলোও দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয় না ফলে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মশার উপদ্রব,মশার কারণে সন্ধ্যা হলেই ক্যাম্পাসে থাকা দায় শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে হোসেন মতিহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বিলাস কুমার বলেন, মশার উপদ্রবে পড়ালেখার টেবিলে বসা যায় না। হলের পাশের ফাঁকা জায়গাগুলো পরিষ্কার না করায় তা জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এদিকে হলের পেছনের ড্রেনগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। ফলে সহজেই মশা খুব দ্রুত বংশবিস্তার করেছে। রাতে মশার জন্য রুমে থাকা কঠিন হয়ে যায়। দিনের বেলাও মশারি টাঙিয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে করে সামনে পরীক্ষা সত্ত্বেও ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারছি না।' রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শিরিন আক্তার বলেন, মন্দার উপদ্রব ইদানিং খুব বেড়েছে, কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। একটু সন্ধ্যা হলেই কোনো জায়গায় এক মিনিট শান্তিতে বসা যায় না।

মাদার বখ্শ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, মশার যন্ত্রণায় গত কয়েক মাস যাবৎ ঠিকমতো রুমে থাকতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত নতুন মশারি কিনে কেটে কেটে জানালায় লাগিয়েছি কিন্তু এটা তো কোনো সমাধান। হতে পারে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত সমস্যা সমাধানে পুরো ক্যাম্পাসে মশা নিধক স্প্রে ব্যবহার করা হোক। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উদ ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা গত মাসে আবাসিক হলগুলোতে মশা নিধনের জন্য ওষুধ প্রয়োগ করেছি। ক্যাম্পাসে পানির ড্রেন ও ডাস্টবিনগুলো পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকদিনের ভেতরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে নতুন কিছু ডাস্টবিন স্থাপন করা হবে। শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সবাই নিজ নিজ থেকে ক্যাম্পাসকে পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করলে মশার প্রজনন রোধ করা সম্ভব হবে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top