এখনো ৭৫ শতাংশ টানেল ধ্বংস করতে পারেনি ইসরাইল

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৩২; আপডেট: ২৭ জুন ২০২৫ ০৯:৩৩

এতো হামলার পরও এখনো ৭৫ শতাংশ টানেল ধ্বংস করতে পারেনি ইসরাইল|রয়টার্স

এতো হামলার পরও এখনো ৭৫ শতাংশ টানেল ধ্বংস করতে পারেনি ইসরাইল|রয়টার্স

দেড় বছরে গাজায় হামাসের মাত্র ২৫ শতাংশ সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতে পেরেছে ইসরাইল।

বুধবার সকালে ইসরাইলের চ্যানেল ১২-এর এক প্রতিবেদনে নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে, গাজা উপত্যকায় হামাসের কৌশলগত সুড়ঙ্গগুলোর মাত্র ২৫ শতাংশ এখন পর্যন্ত ধ্বংস করতে পেরেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইসরাইলি নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ধারণা- গাজা ও মিসরের মধ্যবর্তী এলাকায় বহু চোরাচালান সুড়ঙ্গ এখনো সক্রিয় রয়েছে। সেগুলোর বেশির ভাগই এখনো শনাক্ত করা যায়নি।

হামাসের কাছে অস্ত্র পৌঁছানোর আশঙ্কা এবং ফিলাডেলফি করিডোর থেকে ইসরাইলের পিছু হটার বিষয়ে জেরুজালেমের অনীহার প্রেক্ষাপটে এই তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন যে করিডোরের নিয়ন্ত্রণ পেলেও ভূগর্ভস্থ চোরাচালান পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে না।

প্রায় দেড় মাস আগে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ গভর্নিং সেন্টারে আঞ্চলিক পরিষদের প্রধানদের সাথে এক বৈঠকে বলেন, ফিলাডেলফি করিডোরকে লেবানন ও সিরিয়ার মতোই একটি ‘বাফার জোন’ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

চ্যানেল ১২ জানায়, কাটজ বলেছেন, ‘আমি নিজের চোখে ফিলাডেলফিতে প্রবেশ করে বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ দেখেছি। সেগুলোর কিছু বন্ধ এবং কিছু খোলা। আমরা এমন তথ্য পেয়েছি যে যুদ্ধবিরতির সময় হামাস আবারো হামলার পরিকল্পনা করছে, যার লক্ষ্য হবে আমাদের সৈন্য ও আবাসিক এলাকা।’

এদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় তাদের স্থল অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং আলোচনায় অগ্রগতি না হলে অভিযান আরো বিস্তৃত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চ্যানেলটি জানিয়েছে, এই অভিযানে তিনটি সামরিক বিভাগ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে- ১৪৩, ২৫২ ও ৩৬ নম্বর বিভাগ।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, যুদ্ধ পুনরায় শুরুর পর গাজায় একটি উল্লেখযোগ্য পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলি বাহিনীর সাথে সরাসরি সংঘর্ষ এড়াতে এলাকা ত্যাগ করছে এবং গোপনে অবস্থান নিচ্ছে।

নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মতে, বর্তমানে লড়াইয়ের ধরন আরো বিকেন্দ্রীভূত ও পরোক্ষ হয়ে উঠেছে। তারা বলছে, ‘ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতে হামাসের যোদ্ধারা বেসামরিক জনগণের মধ্যে মিশে যাচ্ছে বা সুড়ঙ্গ ও গোপন আস্তানায় লুকিয়ে থাকছে।’

তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ধারণা, এটি একটি অস্থায়ী কৌশলমাত্র। শেষ পর্যন্ত হামাসে সরাসরি সংঘর্ষে ফিরে আসা ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না।

সূত্র : আল জাজিরা



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top