কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ডের সীমান্ত সংঘাত দ্বিতীয় দিনে গড়ালো

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৫ ২২:২৬; আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ১৬:৫৯

- ছবি - ইন্টারনেট

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে।

আজ শুক্রবার উভয় পক্ষ ভারী অস্ত্র দিয়ে গোলাবর্ষণে জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে । খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

এর মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে থাইল্যান্ড। ব্যাংকক স্পষ্ট জানিয়েছে, এই সংকট কেবল দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা হবে, কোনো বাইরের হস্তক্ষেপ নয়।

থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নমপেনকে গোলাগুলি বন্ধ করতে হবে এবং শুধু দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির সমাধান করতে হবে।’

এই সংঘর্ষকে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র সীমান্ত উত্তেজনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশির ভাগই থাই বেসামরিক নাগরিক।

সংঘর্ষ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলো মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোর্নদেজ বালানকুরা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, এখনই তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন নেই।’

উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিতর্কিত এলাকা নিয়েই গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রথমে হালকা অস্ত্র দিয়ে গোলাগুলি হলেও তা দ্রুত রূপ নেয় ভারী গোলাবর্ষণে, যা ছড়িয়ে পড়ে সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে।

বৃহস্পতিবার গোলাবর্ষণে ১১ বেসামরিক নিহত হওয়ার পর থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে বোমা হামলা চালায়। থাই সেনাবাহিনীর দাবি, এই হামলা ছিল নির্দিষ্ট সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে পরিচালিত।

অন্যদিকে কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থাইল্যান্ডের এই বিমান হামলাকে ‘বেপরোয়া ও নৃশংস সামরিক আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

সীমান্ত পরিস্থিতি ঘিরে এখন উত্তেজনা চরমে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ বাড়ছে। তবে থাইল্যান্ড এখনো দ্বিপাক্ষিক পথেই সমাধান খুঁজে নিতে চায়।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top