চীনের আগ্রাসন মোকাবিলা করতে অত্যাধুনিক সাবমেরিন ভারতের!

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২১ ১৩:০৭; আপডেট: ১৪ মে ২০২৪ ১৪:৪৩

ছবি: সংগৃহিত

সাম্প্রতিককালে চীনের সঙ্গে ভারতের যে সংঘাতের আবহে তৈরি হয়েছে তাতে চীনকে টেক্কা দিতে মাঠে নামছে নয়াদিল্লিও। আর সে সে জন্যই আগামীতে চীনা আগ্রাসন মোকাবিলা করতে ভারত অত্যাধুনিক সাবমেরিন তৈরিতে নজর দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ‘কৌশলগত সহায়তা’ মডেলের আওতায় ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ৪৩ হাজার কোটি ব্যয়ে ছয়টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

নতুন এই ডুবোজাহাজে ‘এয়ার ইন্ডিপেনডেন্ট প্রপালশন’ ব্যবস্থা থাকবে। ফলে পানির নিচে নৌবাহিনীর ক্ষমতা আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি চীনের ক্রমবর্ধমান ডুবোজাহাজের মোকাবিলা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। নৌবাহিনীর শক্তি বাড়াতে প্রোজেক্ট-৭৫ ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় ৬টি সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্যতম বড় কর্মসূচি হতে চলেছে এই ছয়টি ডুবোজাহাজ তৈরির কাজ, যা দ্রুত ভারতে নতুন প্রযুক্তির আনা এবং ভারতেই ডুবোজাহাজ তৈরির পথ প্রশস্ত করবে। কৌশলগত দিক থেকে এই কর্মসূচির ফলে ভারতের আমদানি নির্ভরতা কমে যাবে এবং আরও আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩০ বছর ধরে ডুবোজাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর কর্মসূচির আওতায় সেই ডুবোজাহাজ কেনার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৯ সালে যে কর্মসূচিতে অনুমোদন দিয়েছিল সুরক্ষা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি। সেই কর্মসূচিতে অবশ্য ডুবোজাহাজ হাতে আসতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। মোটামুটি ১০ বছর পর প্রথম ডুবোজাহাজটি পাবে ভারতীয় নৌবাহিনী।

দেশটির মন্ত্রণালয়ের দাবি, ছয়টি ডুবোজাহাজ তৈরির প্রস্তাবে যে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে, তা ঐতিহাসিক। কারণ এই প্রথম ‘কৌশলগত সহায়তা’ মডেলে কোনো প্রকল্প ছাড়পত্র পেয়েছে। সেই মডেলে দেশের মধ্যে ভারতীয় সংস্থাগুলোর উৎপাদনের জোর দেওয়া হয়েছে। যেই সংস্থা দেশেই উৎপাদনের পরিকাঠামো তৈরির জন্য বিদেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে।

আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে চীনা সেনার হাতে কমপক্ষে ৭৫/৮০টি সাবমেরিন রয়েছে। যার মধ্যে ৮/১০টি পারমাণবিক শক্তি চালিত। সে তুলনায় ভারতের হাতে এই মুহূর্তে ১৫টি সাবমেরিন রয়েছে। ভারতের হাতে রয়েছে পারমাণবিক সাবমেরিন অরিহন্ত। অরিহন্তে রয়েছে ‘কে-১৫’ (সাগরিকা) আণবিক মিসাইল। প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র।



বিষয়: ভারত


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top