বিপাকে প্রথম ডোজ গ্রহণকারীরা

ফুরিয়ে যাচ্ছে মজুত টিকা, একই টিকা পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২১ ১৬:৫৭; আপডেট: ১৫ মে ২০২১ ১৬:৫৮

ফাইল ছবি

দেশে টিকার মজুত দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। হাতে আছে মাত্র ৭ লাখ ৮৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন। এ মাসেই শেষ হবে প্রাপ্ত অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার টিকা। ঘাটতি টিকার পরিমাণ ১৪ লাখের বেশি। আর বিভিন্ন উৎস থেকে এনে এই ঘাটতি পূরণে করতে সরকার নানা দৌড়ঝাঁপও করছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এক ব্যক্তিকে একই টিকার দুই ডোজ নিতে হবে। অন্য টিকা গ্রহণ করার সুযোগ নেই তার। ফলে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণকারীরা এখন একই টিকা পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর)-এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বর্তমানে সংস্থাটির উপদেষ্টা ডা. মুস্তাক হোসেন মানবজমিনকে বলেন, যারা প্রথম ডোজ অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন তাদেরকে একই টিকা দিতে হবে।
অন্য টিকা তারা গ্রহণ করতে পারবে না। তারা প্রথম ডোজ নেয়ার পরবর্তী তিন মাস পর একই টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করবেন। কিন্তু এখন টিকার মজুত ফুরিয়ে আসছে। তবে আশা করি আগামী এক মাসের মধ্যে অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার টিকা দেশে চলে আসবে। তাতে সমস্যা হবে না। যদি যথাসময়ের মধ্যে টিকা না আসে সেক্ষেত্রে এই টিকা গ্রহণকারীদের ভবিষ্যৎ কি হবে জানতে চাইলে এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, বৈজ্ঞানিক তথ্য যেভাবে বলবে সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে অন্যভাবে কোন কিছু করার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত দিবে। সেই আলোকে আমাদের এগুতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হক মানবজমিনকে বলেন, টিকার মজুত শেষ হয়ে যাচ্ছে, টিকা আছে। তবে আশা করি, যারা অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন তারা একই টিকা তিন মাসের মধ্যেই নিতে পারনে। এই টিকা চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো জানান, তিন মাস পরেও একই টিকা নিতে পারবেন। তাতে কোনো সমস্যা নেই।

দেশে ১১ই মে পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫২৩ জন। প্রথম ও দ্বিতীয় মিলে টিকা দেয়া হয়েছে ৯৪ লাখ ১৩ হাজার ৪৩৩ ডোজ। বিতরণ করা টিকা বাদ দিলে হাতে মজুত আছে মাত্র ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫৬৭ ডোজ। ঘাটতি টিকার পরিমাণ ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮২০ ডোজ। অন্যদিকে অনলাইনে নিবন্ধনও ২রা মের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন। প্রসঙ্গত, গত ২৭শে জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে গণটিকাদান শুরু হয় ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে। আর দ্বিতীয় ডোজ শুরু হয় ৮ই এপ্রিল থেকে। দেশে কেনা এবং উপহার পাওয়া মিলে এ পর্যন্ত টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ।

সূত্র: ফরিদ উদ্দিন আহমেদ : দৈনিক মানব জমিন 




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top