ইবিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার সাংবাদিক
ইবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৫ ২২:২০; আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫ ০৪:০৯

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) অথনীতি বিভাগের আন্ত:সেশন ফুটবল খেলায় বিভাগটির সিনিয়র-জুনিয়র মারামারির ভিডিও ফুটেজ ধারণ এবং সংবাদ সংগ্রহ করার সময় সাংবাদিকদের মারধর করে ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে । তবে এ ঘটনার ৫ ঘন্টা পার হলেও সাংবাদিকদের ফোন ফেরত পায়নি।
শনিবার (১২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও জুলাই ৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি আফসানা পারভীন তিনা, একই বর্ষের নাহিদ হাসান, মিনহাজ, সৌরভ দত্ত, পান্না এবং ২০২২-২৩ বর্ষের সাইফুল ইসলাম, হৃদয়, রাকিব, অজিল, মশিউর রহমান রিয়নসহ ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী।
হামালার শিকার ভোক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন দৈনিক শিক্ষা পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আরিফ বিল্লাহ, বার্তা ২৪ ও পাবলিকিয়ান টুডের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নূর আলম, দৈনিক আজকালের খবরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রবিউল আলম।
দৈনিক শিক্ষা পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আরিফ বিল্লাহ বলেন, সিনিয়র-জুনিয়র হাতাহাতির সময় আমি ভিডিও ধারণ করতে গেলে জুলাই ৩৬ হল ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি ও অর্থনীতি বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আফসানা পারভিন টিনা ফোন কেড়ে নেন এবং সাথে সাথে ওনার নেতৃত্বে একই সেশনের নাহিদ সহ আট নয় জন ছেলে আমার কাছে এসে কোনরকম কথাবার্তা ছাড়াই অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করে। ৫ ঘণ্টা পর ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা যায় নি।
বার্তা ২৪ ও পাবলিকিয়ান টুডের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নূর আলম বলেন, ফুটবল মাঠে অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন খেলায় মারামারির ঘটনা ঘটলে আমার এক সহকর্মী আরিফ বিল্লাহ সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে মারধরের শিকার হয়।
তখন আমি ক্যামেরা নিয়ে ভিডিও করতে গেলে আনুমানিক ১৫-২০ জন এগিয়ে এসে আমাকে বলে ক্যামেরা বন্ধ কর বলে মারধর করেন। এসময় সুইট ভাই, রব্বানী ভাই এসে পরে আমাকে উদ্ধার করে। এর কিছুক্ষণ পরে অন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে আসলে সাংবাদিক রাকিব, রিফাত ও নুর ভাইর ওপর তারা ফের হামলা চালায়। এমতাবস্থায় আমরা সকল সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এই বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনাটি শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে নিবৃত করি। লিখিত অভিযোগ করা হলে ব্যবস্থা নিবো।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, সাংবাদিকদের অবমাননা করা উচিত হয়নি। প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবগত করলে তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ ছাড় দেওয়া হবে না। সাংবাদিকদের কারণেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভালো আছে। সাংবাদিকদের তাদের পেশাগত দায়িত্ব সম্মানের সাথে পালনের সুযোগ দেওয়া উচিত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: