রাজশাহী কলেজের অনুষ্ঠানে উপেক্ষিত জুলাই শহীদ পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৫ ১৮:২৯; আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৫ ০০:৪৫

রাজশাহী কলেজে ১৬ জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপেক্ষিত হয়েছেন জুলাই শহীদ পরিবার।
জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১৬ জুলাই রাজশাহী কলেজেও নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে জুলাই শহীদ দিবস। আমন্ত্রণ পেয়ে সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন কলেজ শাখা ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। ২৪’র জুলাইয়ের স্মৃতিচারণ করে রাখেন বক্তব্যও। তবে সেখানে দেখা যায় নি কোনো শহীদ পরিবারের স্বজন কিংবা আহত জুলাই যোদ্ধাকে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রাজশাহী কলেজের একমাত্র শহীদ রায়হান আলীর পরিবারের কারো সাথে যোগাযোগ পর্যন্ত করে নি কলেজ প্রশাসন। জানানো হয়নি রাজশাহীতে আরেক শাহাদতবরণকারী শহীদ সাকিব আঞ্জুমের স্বজনদের।
শহীদ পরিবারকে উপেক্ষার প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে রাজশাহী কলেজের পক্ষ থেকে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও শহীদদের জন্য দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে রাজশাহীর কোনো শহীদ পরিবারের সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শহীদদের আত্মত্যাগের সবচেয়ে বড় সাক্ষী ও উত্তরাধিকারী হচ্ছেন তাঁদের পরিবার। তাঁদের উপস্থিতি ছাড়া শহীদদের প্রতি প্রকৃত সম্মান জানানো কখনোই সম্পূর্ণ হয় না।
রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, বিষয়টা দুঃখজনক এবং বেমানান। আমাদের রাজশাহীতে যেহেতু দুইজন শহীদ আছে, দুই পরিবারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান হলে অনুষ্ঠানটা পরিপূর্ণতা লাভ করতো। বিশেষ করে আমাদের রাজশাহী কলেজের গর্ব রাজশাহী কলেজের জুলাই বিপ্লবের একমাত্র শহীদ রায়হান আলী ভাইয়ের পরিবারকে ডাকা দরকার ছিল। কিন্তু কলেজ প্রশাসন বিষয়টা গুরুত্ব দেয়নি। আমরা আগেও দেখেছি কলেজ প্রশাসন শহীদ রায়হান আলীর নামে ভবনের নামকরণের সময়ও ইচ্ছাকৃত ভুল করছিল। আবারও দেখলাম যে তারা তাদেরই কলেজের একমাত্র শহীদ ছাত্রের পরিবারকে এরকম একটা সমাবেশে ডাকল না। রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে কলেজ প্রশাসনের যথেষ্ট অনীহা আছে বলেও অভিযোগ করেন ছাত্রশিবির নেতা।
তবে এ বিষয়ে জানতে জুলাই শহীদ দিবস কর্মসূচির সভাপতি ও রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুঃ যহুর আলীর সাথে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি। ফলে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: