বেনাপোল বন্দরে একমাস ধরে পড়ে থাকা ভারতীয় ট্রাক নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৪ ১৬:৪৭; আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৪২

ছবি: সংগৃহীত

বেনাপোল বন্দরে একমাসের বেশি সময় ধরে পড়ে আছে ভারতীয় পণ্যবোঝাই একটি ট্রাক। ট্রাকটির মধ্যে কী পণ্য আছে তাও কেউ জানেন না। এর মালিকানাও দাবি করছেন না কেউ।

ট্রাকটিতে ৫১১ কার্টন আইপিএস, ইউপিএস রয়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে পণ্য খালাসে আমদানিকারকের পক্ষে কোনো সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এখনো কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করেননি।

বর্তমানে ভারতীয় ট্রাকটি বন্দরের ৩৬ নম্বর শেডের সামনে সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তাকর্মীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রাকটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাস্টমসকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে যেসব পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে, সাধারণত একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিনিধি ট্রাকটি গ্রহণ করে কাস্টমস কার্গো শাখায় তার তথ্য এন্ট্রি করেন। পরে বন্দরের রেজিস্টারে পণ্যাগারের নাম উল্লেখ করে সেই পণ্যাগারে পণ্য খালাস করা হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে (ডব্লিউবি-১১-বি-৬৩৬৬) নম্বরের ট্রাকটি নিয়ম না মেনে বন্দরের ৩৬ নম্বর পণ্যাগারের সামনে অবস্থান করে। এরমধ্যে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে খবর যায়, ট্রাকটি আমদানি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বা বড় ধরনের অনিয়ম করার চেষ্টা করছে। এরপর থেকে ট্রাকটি সিসি ক্যামেরা ও বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের নজরদারিতে রাখা হয়।

আমদানিকারক সাজেদ রহমান বলেন, ট্রাকটিতে কী আছে আর কেন এতদিন এটি বন্দরে পড়ে আছে, তা নিয়ে কৌতূহল ও ভীতি বিরাজ করছে। এখন পর্যন্ত কেউ ট্রাকটির মধ্যে থাকা পণ্যের মালিকানা দাবি করেননি।

বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল সিরাজী বলেন, পণ্যবাহী ট্রাকটির আমদানিকারক ঢাকার টিআর অটোমোবাইলস। ট্রাকটিতে ৫১১ কার্টন আইপিএস, ইউপিএস ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ পণ্য চালানটির মালিকানা দাবি করেননি। পরবর্তী পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত কেউ যাতে ট্রাকটি খালাস না করেন বা সরিয়ে না নেন, সেজন্য বন্দরের সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তাকর্মীদের নজরদারিতে এটি রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ট্রাকটি বন্দরে কোথাও এন্ট্রি না করে প্রবেশ করে। ট্রাকটিতে কী আছে তা এখন পর্যন্ত খুলে দেওখা হয়নি। ট্রাকটির বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে কাস্টমসকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী, একমাসের মধ্যে পণ্যের চালান বন্দর থেকে খালাস না হলে তা নিলামের তালিকায় তোলা হয়। তখন বন্দর কর্তৃপক্ষ তালিকা দিলে কাস্টমস সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top