রিজার্ভ কমে ফের ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারী ২০২৪ ১৮:৫১; আপডেট: ২ মে ২০২৪ ২৩:২৫

ছবি: সংগৃহীত

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) পেমেন্টের পর আবার কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। আকুর ১ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাতে আকুর দায় পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বা আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি মতে (বিপিএম৬ অনুযায়ী) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২০ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম৬ অনুয়ায়ী রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক ঢাকা মেইলকে বলেন, গতকাল আকু পেমেন্টের এক দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। রিজার্ভে যোগ হবে খরচ হবে এটা খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে আকু দায় সমন্বয় করা হয়। এর আগে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সময়ের জন্য বাংলাদেশ আকু এক দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধের রিজার্ভ নেমেছিল ১৯ বিলিয়নের ডলারের ঘরে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আকুর দেনা পরিশোধেরে এক দিন আগে গেত ৩ জানুয়ারি দিন শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল বিপিএম৬ পদ্ধতির গ্রস হিসাবে ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসাবে তা ২৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার।

নির্বাচন ও সাপ্তাহিক দুই দিন মিলিয়ে গত ৫,৬ ও ৭ জানুয়ারি বন্ধ ছিল ব্যাংকিং খাত। শুধু সীমিত পরিসরে ৫ ও ৬ জানুয়ারি নির্বাচনী খরচের জন্য স্থানীয় লেনদেন করতে জন্য ব্যাংকের কিছু শাখা খোলা রাখা ছিল বিশেষ ব্যবস্থায়। এসময় আন্তর্জাতিক লেনদেন বন্ধ ছিল পুরোটা।

গত ডিসেম্বর মাসে রেমিটেন্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারাবাহিকতা বাজায় থাকায় বিপিএম৬ পদ্ধতির গ্রস হিসাবে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি (রিজার্ভ) ২১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল বছর শেষে।

চলতি অর্থবছরে প্রথমবার (জুলাই-আগস্ট) সময়ের জন্য এক দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার আকু দায় পরিশোধ করে বাংলাদেশ। ওই সময় দায় পরিশোধের পর প্রথমবারের মতো রিজার্ভ সাত বছর পর ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমে হয়েছিল ২৯ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার।

১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশন (ইসক্যাপ)-এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় আকু। আকুর সদস্যপদ জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশন (ইসক্যাপ)-এর ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য উন্মুক্ত।

সদর দফতর ইরানের তেহরানে অবস্থিত আকুর সদস্য হচ্ছে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ। রিজার্ভ সংকটে পড়ে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে আকু থেকে বেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। অর্থনৈতিক অবস্তান আগের চেয়ে উন্নতি হলেও এখনো আকুতে ফেরেনি দেশটি।

আকুর সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে আমদানি-রফতানি করে থাকে, তা দুই মাস পরপর সমন্বয় করে থাকে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top