আল্লামা ইকবালকে সিলেবাস থেকে বাদ দিচ্ছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৩ ১৭:২৪; আপডেট: ২৮ মে ২০২৩ ১৭:২৫

ছবি: সংগৃহীত

বিখ্যাত ‘সারে জাঁহাসে আচ্ছা, হিন্দুস্তা হমারা’ গানের রচয়িতা কবি আল্লামা ইকবালের নাম এবার মুছে যাচ্ছে দিল্লি ইউনিভার্সিটির সিলেবাস থেকে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

খবরে বলা হয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল সিলেবাস সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বড় রদবদল আনছেন তারা। এবার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিএ ক্লাসের সিলেবাস থেকে কবি আল্লামা ইকবালের প্রসঙ্গটাও বাদ দেওয়া হচ্ছে। আল্লামা ইকবাল পাকিস্তানের জাতীয় কবি।

একাডেমিক কাউন্সিল এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্টিশন স্টাডি, হিন্দু স্টাডিজ ও ট্রাইবাল স্টাডিজের নতুন সেন্টার তৈরির প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিকাশ গুপ্তা জানিয়েছেন, সিলেবাসের নানা দিক ও সেন্টার তৈরির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সেন্টারস ফর পার্টিশন, হিন্দু ও ট্রাইবাল স্টাডিজ তৈরির প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিলেবাস থেকে মুহাম্মদ ইকবালের প্রসঙ্গ বাদ দেওয়া হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিকাল সায়েন্সের সিলেবাসের 'মডার্ন ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল থট' অংশের মধ্য়ে ছিল আল্লামা ইকবালের প্রসঙ্গ। অধ্যায়টি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যক্রমে ষষ্ঠ সিমেস্টারে পড়ানো হয়। এই সেমিস্টারে রাজা রামমোহন রায়, পণ্ডিত রমাবাই, স্বামী বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধী, মুহাম্মদ ইকবাল এবং বি আর অম্বেদকরের জীবনী রয়েছে। এই সেমিস্টারে 'ইকবাল: কমিউনিটি' নামে একটি অধ্যায় রয়েছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে সিলেবাস থেকে বাদ পড়বে ইকবালের জীবনী।

বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক যোগেশ সিং বলেছেন, 'যারা ভারত ভাঙার ভিত্তি তৈরি করেছেন, তাদের সিলেবাসে থাকা উচিত নয়।'

আল্লামা ইকবাল বিখ্যাত দেশাত্মবোধক গান 'সারে জাহাঁ সে আচ্ছা'র স্রষ্টা। তিনি ১৮৭৭ সালে অবিভক্ত ভারতের শিয়ালকোটে জন্মেছিলেন। বর্তমানে এটি পাকিস্তানের অংশ।

কিংবদন্তিতুল্য এই কবি ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশেই সমাদৃত। পাকিস্তান তাকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছে। অন্যদিকে পণ্ডিত রবিশঙ্কর ভারতীয় সৈন্যদের জন্য তৈরি করেছিলেন 'সারে জাহাঁ সে আচ্ছা'র কুচকাওয়াজ সংস্করণের সুর। প্রখ্যাত এই কবি ১৯৩৮ সালে মারা যান। প্রথম জীবনে তিনি উর্দু ভাষায় কবিতা লিখতেন। পরে ফার্সি ভাষায় লেখালেখি করেছেন।

এর আগে এ বছরের শিক্ষাবর্ষ থেকে ভারতের শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যক্রম থেকে মোঘল যুগ বাদ দিয়েছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি)-এর পাঠ্যপুস্তক থেকেও মোঘল যুগ বাদ দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইতিহাসবিদেরা।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top