রাজশাহীতে ফারাক্কা দিবস পালিত

ফারাক্কার প্রভাবে বছরে ক্ষতি পাঁচ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২২ ০৫:০৭; আপডেট: ১৭ মে ২০২২ ০৫:০৯

ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে রাজশাহীতে বক্তব্য রাখছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

রাজশাহীতে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চ-এর ৪৬ তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ৩টায় রাজশাহী মহানগরের লালন শাহ মঞ্চে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গঙ্গা নদীর বুকে দেওয়া ভারতের ফারাক্কা বাঁধের কারণে ভাটিতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষ সেচের পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

দক্ষিণাঞ্চলের আরও প্রায় ৪ কোটি মানুষ ও এক-তৃতীয়াংশ এলাকা সেচের পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ এলাকাতেও সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আরও নানামুখী ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের। আর্থিক হিসাবে বছরে এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

জনসভায় সভাপত্বিত করেন ফারাক্কা লং মার্চ উদযাপন কমিটির আহবায়ক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুব সিদ্দিকি। এসময় বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণ সংগহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্লাহ কায়সার, প্রকৌশলী ম ইনামুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক ও ৭ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে মিছিল বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মিছিল শেষে ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে পরিদর্শন করা হয়। উল্লেখ্য, আজ থেকে ৪৫ বছর আগে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ভারত নির্মিত ফারাক্কা বাঁধের প্রতিবাদ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পদ্মার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান থেকে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখে লাখো জনতার সেই লং মার্চ রওনা হয়।

লংমার্চ শেষে কানসাট হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে বক্তব্য দেন মজলুম জননেতা। সেই থেকে ১৬ মে ফারাক্কা দিবস নামে পরিচিতি লাভ করে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ১৮ কিলোমিটার উজানে ভারত ফারাক্কা বাঁধটি নির্মাণ করে। ওই লংমার্চ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে দেয়। ১৯৯৬ সালে ভারত-বাংলাদেশের ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি অনুযায়ী খরা মৌসুমের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেওয়ার কথা বাংলাদেশকে। কিন্তু বাংলাদেশ সে পানি পায়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ২০০১ সাল ২০১৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি অনুযায়ী পানি মিলছে মাত্র তিন বছর।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top