জুমার দিনের ৯ আদব

রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২২ ০৫:৫৭; আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২২ ০৫:৫৯

ছবি ফাইল

মহানবী (সা.)-এর ভাষ্যমতে, জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সুরা জুমুআহ নামে স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করেছেন। এই দিনের বিশেষ গুরুত্বের কারণেই জুমার আজানের পর সব ধরনের দুনিয়াবি কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই দিনের বিশেষ কিছু আদব রয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তুলে ধরা হলো:

১. জুমার দিনে গোসল করা মুস্তাহাব। এ প্রসঙ্গে হাদিস শরিফে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কেননা জুমার নামাজে প্রচুরসংখ্যক মুসল্লি এক জায়গায় সমবেত হন।

২. গোসল করা ছাড়া এ রকম জায়গায় গেলে শরীর থেকে নির্গত দুর্গন্ধ অপর ভাইয়ের কষ্টের কারণ হতে পারে।

৩. সুন্দর পোশাকপরিচ্ছদ পরিধান করা। নিজের কাছে থাকা সর্বোত্তম পোশাকটি পরিধানের চেষ্টা করা। সাদা পোশাক ছিল নবী (সা.)-এর পছন্দের।

৪.সুগন্ধি ব্যবহার করা। সাধ্যানুযায়ী সর্বোত্তম সুগন্ধি ব্যবহার করা উচিত। সর্বোত্তম সুগন্ধি হলো, যার ঘ্রাণ ছড়াবে বহুদূর, তবে তার বর্ণ হবে অস্পষ্ট।

৫. বিভিন্নভাবে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা। যেমন মিসওয়াক করা, বগলের নিচের পশম পরিষ্কার করা, নখ কাটা ও গোঁফ ছোট করা ইত্যাদি।

৬. তাড়াতাড়ি মসজিদে চলে যাওয়া। যাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো না করে গাম্ভীর্য বজায় রাখা।

৭. মসজিদে প্রবেশ করার পর অন্য মুসল্লিদের কষ্ট দিয়ে সামনে না যাওয়া। এতে আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট হন।

৮. যথাসাধ্য সামনের কাতারে বসার চেষ্টা করা। সামনের কাতারে বসার ব্যাপারে হাদিস শরিফে বহু ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে।

৯. ইমাম সাহেব মিম্বারের দিকে অগ্রসর হলে সব ধরনের কথাবার্তা বন্ধ করে দেওয়া। এ সময় কর্তব্য হলো মনোযোগ দিয়ে ইমামের খুতবা শোনা।

১০. জুমার দিনে বিশেষ একটি মুহূর্ত আছে, যখন আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া ফেরত দেন না, সে মুহূর্তটি তালাশ করা।

সূত্র: আজকের পত্রিকা/ এনএ



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top