ইবিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ইবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৫ ১৯:১৪; আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৫ ০২:২৩

- ছবি - ইন্টারনেট

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের আন্তঃসেশন ফুটবল খেলায় মারামারির ভিডিও ফুটেজ ধারণের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে গণমাধ্যম রুখে দাড়াক, নির্যাতনের প্রতিবাদ হোক; সাংবাদিকের উপর হামলা মানেই গণতন্ত্রের কবর; সাংবাদিকের কন্ঠরোধ, চলবে না চলবে না; সাংবাদিকের কন্ঠরোধ মানিনা মানবো না; অপরাধ কোনটি, সাংবাদিকতা না হামলা? যতই করো হামলা, কলম থামবে না ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংবাদ সংগ্রহর জন্য একজন সাংবাদিককে যেভাবে ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটবে তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একজন সাংবাদিকের প্রথম কাজ হয় যেকোন ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ডকুমেন্টস সংগ্রহ করা। তারপর সে সেটা যাচাই করে নিউজ হবে কিনা। ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে যেয়ে যদি এরকম হামলার শিকার হতে হয় তাহলে সাংবাদিকরা কাজ করবে কীভাবে।

চ্যানেল আই প্রতিনিধি সাদিয়া আফরিন অমিন্তা বলেন, সাংবাদিকতা কোনো অপরাধ নয়, এটি মুক্ত পেশা। যদি সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মার খেতে হয় সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী হয়ে এর থেকে লজ্জ্বাজনক বিষষয় আর হতে পারেনা। যারা এই হামলার সাথে জড়িত আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সিনথিয়া সরকার বলেন, আমরা আজ এখানে এক নিন্দনীয় ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে একত্রিত হয়েছি। সম্প্রতি ভিডিও ফুটেজ ধারণের সময় সাংবাদিকদের ওপর যে বর্বরোচিত হামলা হয়েছে, তা শুধু একজন সাংবাদিকের ওপর নয় — এটি বাকস্বাধীনতা, পেশাদারিত্ব ও গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত।সংবাদ সংগ্রহ করা সাংবাদিকদের সাংবিধানিক অধিকার। তারা জনগণের পক্ষ থেকে সত্য তুলে ধরেন।

অথচ সেই দায়িত্ব পালনের সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং অগ্রহণযোগ্য।আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, দোষীদের শনাক্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।সাংবাদিক সমাজকে ভয় দেখিয়ে থামানো যাবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি, এবং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সব সময় কাজ করে যাবো।

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শামীম হোসেন বলেন, আমরা দেখেছি গতকাল আমাদের সহপাঠি সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। একজন সাংবাদিক হিসেবে অপর একজন সাংবাদিককে মারধর করা হচ্ছিলো এটা অবশ্যই একটি নিউজ। সেই ঘটনা ভিডিও করতে যাওয়া তার পেশাগত দায়িত্ব।

একজন সাংবাদিককে অন্য কোনো প্রেক্ষাপটে মারা হয়েছিলো কি না তা বিষয় নয়,  এখানে প্রধান বিষয় একজন সাংবাদিককে প্রহার করা হচ্ছিলো, আমাদের সহপাঠি একজন সাংবাদিক হিসেবে সেটা ভিডিও করতে গেলে তাকে নির্মমভাবে প্রহার করা হয়। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। প্রশাসনের কাছে আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এছাড়াও এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও এনটিভি অনলাইনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মায়িশা মালিহা চৌধুরী, চ্যানেল আই প্রতিনিধি সাদিয়া আফরিন অমিন্তা, দৈনিক খোলা কাগজের প্রতিনিধি ফারহানা ইয়াসমিন, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি ওয়াসিফ আল আবরার, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের প্রতিনিধি মানিক হোসেন, দৈনিক মূলধারার প্রতিনিধি আবু বকর, দৈনিক দেশের ডাকের প্রতিনিধি সুবংকর রয়, রাজ টাইমসের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাদ, দিক দিগন্তের প্রতিনিধি আবু সালমান।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top