রাজশাহীতে নেসকো বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০০:২৪; আপডেট: ৬ মে ২০২৪ ০৩:৩৩

ফাইল ছবি

রাজশাহী মহানগরীতে হঠাৎ করেই বিদ্যুতের লোড বাড়ানো নিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন গ্রাহকরা। বিশেষ করে চলতি মাস থেকে নগরীর সাগরপাড়া নেসকো অফিসের অধিনস্ত গ্রাহকরা এই ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।

গ্রাহকরা জানান, পূর্ব কোন নোটিশ বা ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করেই সকালে আমাদের বাসায় ভোল্ট আপডাউন করছে। মিটারে বিদ্যুৎ থাকলেও বাসায় ঠিক মত সরবরাহ হচ্ছে না। বাড়ীতে বাচ্চাসহ বৃদ্ধরা আছে। বাসার ফ্রিজে খাবার দাবার আছে, সেগুলো নষ্ট হচ্ছে। আবার সামনে এইচএসসি পরীক্ষা । হঠাৎ বিদ্যুৎ না থাকায় এই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। গ্রাহকরা জানান, অফিসে এসে জানতে পারলাম মিটারের লোড বাড়ানোর জন্য এসএমএস দেওয়া হয়েছে। আমরা এখন একটি ফরম পূরণ করে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছি। তারপর একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার ডিজিট মিটারে প্রবেশ করাতে বলা হচ্ছে। আমরা তাদের সকল শর্ত পূরণ ও টাকা জমা দিলেও মিটার চালু করতে পারছিনা। তাদের বললেও কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ করেন।

সাগরপাড়া অফিসে গিয়ে দেখা যায়, শত শত গ্রাহক অফিসে ভীড় করছে। গ্রাহকরা লোড বাড়ানোর জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে এসেছেন কয়েকদিন আগে। তবুও বাড়ানো হয়নি তাদের লোড।  তবে গ্রাহকদের এমন ভোগান্তির অভিযোগ মানতে নারাজ নেসকো কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন প্রত্যেক গ্রাহককে এসএমএস দিয়ে লোড বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে সগরপাড়া বিদ্যু বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নিকামুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক গ্রাহককে মোবাইল ফোনে এসএমএস দিয়ে লোড বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। তারা হয়তো না বুঝতে পেরে এসব অভিযোগ তুলছেন। লোড বাড়ানোর জন্য মিটার প্রতি ১০০ টাকা জমা দিলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে জানান। টাকা জমা দিয়ে এসে মিটারের নির্ধারিত ডিজিট প্রবেশের পর বিদ্যুৎ সরবারাহ ঠিক হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, মিটার সার্ভারের সমস্যার কারণে এমন হতে পারে। আমাদের লোকবল কম। তবে আমরা এসব সমস্যার সমাধানে কাজ করছি বলে জানান এই কর্মকর্তা।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top