ভারতীয় সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যুর দাবি উজবেকিস্তানের

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৩৩; আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৪৬

ছবি: সংগৃহীত

আফ্রিকার গাম্বিয়ার পর এশিয়ার উজবেকিস্তান অভিযোগ করেছে, ভারতে তৈরি সর্দি কাশির সিরাপ খেয়ে ১৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মেরিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের তৈরি কাশির সিরাপ সেবনে এ পর্যন্ত ১৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ২১ থেকে ১৮ জন শিশু যারা তীব্র শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হয় তারা 'ডক-১ ম্যাক্স' সিরাপ সেবন করেছিল।

ওই ওষুধ খেয়ে ঘটে মৃত্যুর এই ঘটনাগুলো। সর্দি ও ফ্লুর উপসর্গের চিকিৎসা হিসেবে কোম্পানির ওয়েবসাইটে এটি বাজারজাত করা হয়।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সিরাপটি কুরাম্যাক্স মেডিকেল এলএলসি এর মাধ্যমে উজবেকিস্তানে আমদানি করা হয়েছিল। সিরাপের এক ব্যাচে ইথিলিন গ্লাইকোল রয়েছে, যা একটি বিষাক্ত পদার্থ।

সিরাপটি কুরাম্যাক্স মেডিকেল এলএলসি এর মাধ্যমে উজবেকিস্তানে আমদানি করা হয়েছিল। সিরাপটি কুরাম্যাক্স মেডিকেল এলএলসি এর মাধ্যমে উজবেকিস্তানে আমদানি করা হয়েছিল। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাচ্চাদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বাড়িতে সিরাপ খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তাদের বাবা-মা বা ফার্মাসিস্টের পরামর্শে। এটা স্পষ্ট নয় যে সমস্ত শিশু আদর্শ ডোজ থেকে বেশি খেয়েছে কিনা।

এ ঘটনায় উজবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া বা অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট ৭ জনকে বরখাস্ত করেছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা উজবেকিস্তানের প্রতিবেদন সম্পর্কে অবগত কিন্তু এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এ ঘটনায় উজবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া বা অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট ৭ জনকে বরখাস্ত করেছে।

এ ঘটনায় উজবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া বা অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট ৭ জনকে বরখাস্ত করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মান নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সারা দেশে কিছু ওষুধ কারখানা পরিদর্শন শুরু করেছে। মারিয়ন বায়োটেক ২০১২ সাল থেকে উজবেকিস্তানে নিবন্ধিত। উজবেকিস্তান সরকার জানিয়েছে, তাদের সরবরাহ করা ঠাণ্ডা ও কাশির সিরাপ পরীক্ষা করা হচ্ছে।

এর আগে গাম্বিয়ায় ঠাণ্ডার সিরাপে ডাইথাইলিন গ্লাইকোল ও ইথিলিন গ্লাইকলের অস্বাভাবিক মাত্রার কারণে প্রায় ৭০ জন শিশু কিডনি বিকল হয়ে মারা গিয়েছিল। যদিও সে সময় ভারত সরকার ও ওই কোম্পানি এই দায় অস্বীকার করে।

মান নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সারা দেশে কিছু ওষুধ কারখানা পরিদর্শন শুরু করেছে। মান নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সারা দেশে কিছু ওষুধ কারখানা পরিদর্শন শুরু করেছে।

গত অক্টোবরে গাম্বিয়ার ঘটনায় ভারতীয় কোম্পানি মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি চার ধরনের কাশির সিরাপকে দায়ী করা হয়। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থার তৈরি সর্দি ও কাশির সিরাপ সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেন।

ভারতকে 'বিশ্বের ফার্মেসি' বলা হয়। গত এক দশকে দেশটির ওষুধ রপ্তানি দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। গত অর্থ বছরে শুধু ওষুধ রপ্তানি করেই আয় হয়েছে ২৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top